ViralNews24

ViralNews24

তিন সন্তানের মাকে আন্টি বলে ডাকত যুবক, অবশেষে তার সঙ্গেই….

তিন সন্তানের মা ওই মহিলাকে সম্মান দিয়ে ‘আন্টি’ বলেই ডাকত। ফোনে কথাবার্তা, সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। ওই মহিলার সঙ্গে ধীরে ধীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকলে, প্রায়সময়ই লুকিয়ে দেখা করতে আসত ওই যুবক।

সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে! ওই যে কথায় আছে প্রেম মানে না কোনও বাধা। তিন সন্তানের মায়ের সঙ্গেই প্রেম যুবকের। আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়তেই যুগলকে টেনে নিয়ে গেল পঞ্চায়েত। বসল সালিশি সভা। আর সেখানে তারপর যা যা হল, তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

তিন বছর আগে আলাপ, আধ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল দুইজনের বাড়ি। তিন সন্তানের মা ওই মহিলাকে সম্মান দিয়ে ‘আন্টি’ বলেই ডাকত। ফোনে কথাবার্তা, সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। ওই মহিলার সঙ্গে ধীরে ধীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে না থাকলে, প্রায়সময়ই লুকিয়ে দেখা করতে আসত ওই যুবক।

দিন কয়েক আগে যুবক আসে। পড়শিরাও তক্কে তক্কে ছিলেন। দরজা খুলে ঢুকতেই যুবক ও মহিলাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তারা। এরপরই হইচই পড়ে যায়। গ্রামে পঞ্চায়েত বসানো হয়। ডাকা হয় মহিলার স্বামীকেও। সেখানে যখন এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা জানতে চান, তখন যুবক ওই মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেন।

দাঁড়িয়ে সব দেখছিলেন মহিলার স্বামী। তিনি জানান, এই বিয়েতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। প্রেমিকের সঙ্গেই থাকুক স্ত্রী। শুধু সন্তানরা তাঁর কাছে থাকুক। কাহিনি এখানে শেষ নয়। এরপরই আরেক বোমা ফাটান ওই মহিলা। তিনি জানান, তাঁর কনিষ্ঠ সন্তানের বাবা তাঁর স্বামী নয়, প্রেমিক! বড় দুই সন্তান স্বামীর কাছে থাকলেও, ছোট সন্তানকে যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় প্রেমিক তথা নতুন স্বামীও।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়। ওই মহিলার স্বামী বলেন, “ইতিমধ্যেই অনেক মহিলাকে ওই যুবক প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। গত দুই বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তিন বছর আগে ওদের দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল। ও আমার স্ত্রীকে নানা উপহার এবং ২০-৩০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। এখন পঞ্চায়েতের সামনে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে ওঁ। স্ত্রী যেখানেই থাকুক না কেন, সেটা তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। আমি তাকে খুশি মনে বিদায় জানালাম। আমার পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল। তবুও আমি বাচ্চাদের নিজের কাছে রাখতে চাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *