ViralNews24

ViralNews24

শাকিবকে নিয়ে ফের দুই স্ত্রীর লড়াই, যা বললেন অপু

শাকিব খান সম্পর্কের সুতা কেটে দিলেও ভুলতে পারেননি অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। সন্তানের পিতার জন্য আগের মতোই ভালোবাসা প্রদর্শন করেন তারা। তবে ভালোবাসা প্রকাশ যেন একরকম প্রতিযোগিতায় রূপ নিয়েছে।

রোববার (১৬ জুন) ফেসবুক পোস্টে অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বা ছেলের সঙ্গে তার বাবার কোনো সুন্দর মুহূর্ত পোস্ট করার পরেই কাউন্টার পোস্ট শুরু হয়। অভিনেত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন কাউন্টার পোস্টের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় তিনি নেয়।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি। আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি। তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।’

অপু যোগ করেন, ‘আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। আমার অনেক দায়িত্ব, অনেক ব্যস্ততা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা একজন নারীর মতো হাজারো কাজ, পরিকল্পনা, এবং স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমার সম্পর্ক, আমার জীবনের অধ্যায়গুলো দর্শকের চোখের সামনেই কেটেছে। সেখানে লুকোচুরি নেই। নাটক করার কিছু নেই। আমার ছেলের জন্য সময় দেই। তার বাবার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখি। এটা সম্পূর্ণই ওর মানসিক বিকাশ ও সুন্দর শৈশবের জন্য। এটিকে ঘিরে কারও ‘অস্বস্তি’ তৈরি হলে সেটার দায় আমার নয়।’

সামাজিকমাধ্যমে শাকিবকে নিয়ে আপু বিশ্বাস কোনো পোস্ট করলেই পাল্টা পোস্ট দিতে দেখা যায় বুবলীকে। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই দেখছি আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই যেন কিছু ‘কাউন্টার প্রচেষ্টা’ শুরু হয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই। সম্মান নিজে অর্জন করতে হয়। অন্যকে ছোট করে নয়। এখন থেকে আমি শুধু নিজের কাজ, নিজের ছেলে, নিজের ভক্তদের সময় দিতে চাই।”

সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কারও সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারও সঙ্গে পা মেলাতে রাজিও নই। ভালোবাসা অমলান থাকুক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *