সঠিক পোশাক বেছে নেয়ার পাশাপাশি সঠিক মাপের ব্রা পরাও কিন্তু জরুরি। অনেক নারীই নিজের অন্তর্বাসের মাপ ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না। ভুল অন্তর্বাস পরলে যেমন, লুকটিও খারাপ হয়ে যায়। একইভাবে আপনার শরীরের ক্ষতিও হতে পারে। কিন্তু আপনি সঠিক অন্তর্বাস পরছেন নাকি ভুল অন্তর্বাস পরছেন, তা বুঝবেন কীভাবে? কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে?
নারীরা কি সঠিক সাইজের অন্তর্বাস বেছে নেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একাধিক সময়ে বিশ্বের নানা দেশে বিভিন্ন সমীক্ষা চালানো হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ নারীরাই সঠিক সাইজের অন্তর্বাস পরেন না। তারা ভুল মাপের অন্তর্বাস পরেই চলেছেন।
কখনো কখনো এরকমও দেখা গিয়েছে যে, প্রতি ১০ জনে ৮ জন নারীই নিজের অন্তর্বাসের সঠিক মাপ জানেন না। তারা ভুল মাপের অন্তর্বাস পরছেন। এই সমস্যা ধীরে ধীরে বড় আকারও নিয়েছে।
ভুল অন্তর্বাস লুক খারাপ করতে পারে
ভুল মাপের অন্তর্বাস পরতে শুরু করলে প্রথম প্রথম তা না বুঝতেও পারেন। কিন্তু এক সময়ে তার ফল বেশ প্রকট হয়ে উঠতে পারে। খুব ঢিলে অন্তর্বাস পরলেও যেমন তা আপনার লুককে খারাপ করে দিতে পারে, আবার অত্যন্ত টাইট অন্তর্বাস আপনার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি করতে পারে। আবার স্ট্রেচ মার্কের জন্যেও দায়ি হয়ে উঠতে পারে। তাই সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
টাইট অন্তর্বাস পরলে কী ক্ষতি হতে পারে?
>>> টাইট অন্তর্বাস পরলে আপনার ত্বকে বারবার ঘষা লাগবে। ফলে, সেখানে লাল হয়ে যাবে। এমনকী বড় সংক্রমণও হতে পারে।
>>> বুকের পাশে,স্তনে ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। অন্তর্বাস পরার পরেই বুকে এবং পিঠে খুব ব্যথা হচ্ছে? সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
>>> রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। ত্বকে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।
আপনার অন্তর্বাস যে সঠিক মাপের নয়, কীভাবে বুঝবেন?
>>> অন্তর্বাসটি আপনার ঠিকঠাক ফিট হচ্ছে না।
>>> ত্বকের উপর চেপে বসছে।
>>> আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে।
>>> বুকে-পিঠে ব্য়থা হচ্ছে।
>>> আপনার স্তন সঠিক সাপোর্ট পাচ্ছে না।
>>> ফিগারকে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছে না আপনার ব্রা।
>>> ত্বকে চুলকানি বা ব়্যাশ হচ্ছে।
>>> স্তনে কভারেজ ঠিকঠাক হচ্ছে না।
সঠিক অন্তর্বাস বেছে নেয়ার নিয়ম কী কী?
>>> অন্তর্বাসের ফ্যাব্রিকের দিকে গুরুত্ব দিন। দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য অন্তর্বাস সুতির হলেই ভালো হয়।
>>> যে ফ্যাব্রিক পরলে আপনার অস্বস্তি হয়, তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
>>> নিজের সাইজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন।
>>> একটি ফিতে নিন। এটি আপনার বুকের উপর দিয়ে ধরুন। এতে যে পরিমাপ পাচ্ছেন তা নোট করে রাখুন। তারপর স্তনের নিচের অংশের পরিমাপ নিন। সেটি নোট করে রাখুন। দ্বিতীয় মাপটি আপনার অন্তর্বাসের ব্যান্ড সাইজ, (যেমন- ৩২, ৩৪ বা ৩৬)। প্রথম মাপটি আপনার কাপ সাইজ নির্দেশ করে। তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ৩৪ এ, বি নাকি সি সাইজের অন্তর্বাস প্রয়োজন।
>>> অন্তর্বাস কেনার আগে বারবার ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিন। খুব টাইট বা ঢিলে হলে সেই অন্তর্বাস অবশ্যই বদলে নিন।
>>> নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হন। তাহলেই সঠিক অন্তর্বাস বেছে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, সঠিক অন্তর্বাস বেছে নেয়ার দায়িত্ব একান্তই আপনার। নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার দায়িত্ব একান্তই আপনার। তাই এই নিয়ে লজ্জা নয়, বরং খোলাখুলি প্রশ্ন করুন।
Leave a Reply