ViralNews24

ViralNews24

স’হবা’স না করলে মেয়েদের কি ধরনের ক্ষতি হয়?

যৌনচার বিষয়ে ইসলাম বলতে সেইসব ইসলামিক অনুশাসন বোঝায় যেগুলো দ্বারা মানুষের যৌনাচারনিয়ন্ত্রিত হবে। এইসব অনুশাসন বহির্ভুত সকল প্রকার যৌনাচার ইসলামী মতে নিষিদ্ধ বাহারাম। মানব জীবনেরযৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত কিন্তু যৌনাচারের পন্থা সম্পর্কে রয়েছে অনুশাসন। মানুষের বিবিধ যৌনাচার অনুমোদনযোগ্য কি-না তা দুটি বিষয় থেকে অনুমানযোগ্য।

প্রথমত: যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের প্রাধিকার অর্জন করে।

মিলনের সময় স্ত্রীর বীর্যপাত হলে কিভাবে বুঝবেন?

যৌনতা বিষয়ক ফিকহ বা ইসলামিক শারীরিক মিলনআইনশাস্ত্র এবং ইসলামে যৌনতা বিষয়ক নিয়মাবলি ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন, হাদীস নামে পরিচিত ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী ও কর্ম, ইসলামিক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত ফতোয়াপ্রভৃতিতে ব্যাপক ও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, যা নারী ও পুরুষের মধ্যকার নিয়মতান্ত্রিক শারীরিক মিলন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহবহির্ভুত শারীরিক মিলন সম্পুর্ন হারাম! এমনকি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানীতঃ যে সকল নর-নারী বিবাহপুর্ব শারীরিক মিলন করেছে তারা বিবাহ পরবর্তী যৌন জীবনে অসুখী। আর যে সকল নর- নারী বিবাহপুর্ব শারীরিক মিলনে লিপ্ত হননি – তারা বিবাহ পরবর্তী সুখি জীবনযাপন করেন। তাই বিবাহের আগে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকুন।

বীর্য বেশিক্ষণ ধরে রাখার উপায়

যারা বিবাহ ব্যতিরেকে শারীরিক মিলন করতে চাইছেন তাদের প্রতি:- “ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে। “

যে দিনটিতে নারীর সবচেয়ে বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষায় ভুগেন

ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিত্‍সকের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না। মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র প্রাকৃতীকভাবে নির্ধারিত।তে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস হিসেবে ধরা হয়।

এই দিবসগুলোতে স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন করলেও স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না। এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতি গতভাবেই নির্দিষ্ট। তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিত্‍সা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো।এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন। আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।

ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাত্‍ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিনগুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই যৌন মিলন করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র।

তাই ৩০-১০=২০, অর্থাত্‍ ২০ তম দিন আপনার যৌন মিলনের জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস। ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাঁধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাঁধ যৌন মিলন করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে।

উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাঁধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই। জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়।

এছাড়া প্রাকৃতীক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটাকে বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই পদ্ধতিতে যৌন মিলন বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্র্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *