ViralNews24

ViralNews24

নারীর স্তন ক্যান্সারের কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ

জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ বাড়িয়ে দিতে পারে নারীর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি! এমনটিই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, বার্থ কন্ট্রোল পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের ফলে নারীরর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
স্বাস্থ্য বার্তা

গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট নারীদের হরমোনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। যে কারণে অতিরিক্ত পরিমাণ গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খেতে নিষেধ করে থাকেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি জন্মনিয়ন্ত্রক অষুধের একটি মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি একটি মার্কিন গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন গবেষক দল এক হাজার ১০০ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, যারা অতীতে বা বর্তমানে বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি নারীর মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
২১ হাজার ৯৫২ জন রোগী, যারা বিধি নিষেধ মেনে চলেন, তাদের মধ্যে এক হাজার ১০২ জনের উপর টানা ১০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে (১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত) মার্কিন গবেষকরা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করার পর প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত স্তন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণই পরিলক্ষিত হয় না। গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, ইস্ট্রোজেন কম পরিমাণে সেবন করলে এক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।

আমেরিকার ‘ফ্রেড হোচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার’-এর গবেষকরা আরো জানতে পেরেছেন, স্তন ক্যান্সার সাধারণত খুব কম লোকের হয়ে থাকে। যেহেতু নারীরা বিভিন্ন ধরণের জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। সেজন্য জন্মনিয়ন্ত্রক অষুধ সেবনের মাত্রা ও বিভিন্ন ধরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের ফর্মুলেশন নিয়ে সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ব্রেক থ্রো ক্যান্সার-এর ডঃ ক্যারোলাইন ডাল্টন বলেন, বার্থ কন্ট্রোলের পিল খাওয়ার আগে নারীদের চিকিত্সকের সঙ্গে বার্থ কন্ট্রোলের বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য বিকল্প উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত ৪০ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। অথচ, নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ইস্ট্রোজেন বার্থ কন্ট্রোল কম্বাইন্ড পিল সেবনের ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *