ViralNews24

ViralNews24

সিদ্ধান্ত বদলালেন মুরাদনগরের আলোচিত সেই নারী

এবার নিজ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার সেই ভুক্তভোগী নারী। এরআগে শান্তির স্বার্থে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই নারী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাই মামলা চালাবেন। তার স্বামী প্রবাস থেকে বলায় রোববার (২৯ জুন) মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এখন পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মামলা লড়বেন। ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি দুটি মামলারই তিনি বাদী।

ধর্ষণ মামলায় একমাত্র এজাহার নামীয় আসামি একজনই গ্রেপ্তার ফজর আলী। আর পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় আসামিও গ্রেপ্তার হওয়া ওই চারজনই। তবে এ মামলার অজ্ঞাতনামা আরও আসামি করা হয়েছে।

পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই রুহুল আমীন।

তিনি বলেন, ওই রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে। এতে আর কেউ জড়িত কিনা তাও বেরিয়ে আসবে। মামলা তদন্তে রিমান্ড প্রয়োজন। কারা, কেন, কি উদ্দেশ্য ঘটনা, ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে সব জানা যাবে। এতে মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে।’

রোববার গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের জামিন নাকচ করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি ফজর আলীকে সোমবারও আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় রোববারও তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করা হয়নি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ফজর আলী আহতাবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আদালতকে রোববারই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজনার্স সেলে (হাসপাতালে) অন্তরীণ রাখা হয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে। আহত অবস্থায়ই তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লায় আনা হয়।

অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঘটনার রাতেই জনগণ মারধর করেছিল। ওইসময় তার হাত-পা ভেঙে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরাদনগর সার্কেল মো. কামরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি দুটি পৃথক মামলা, গ্রেপ্তার হওয়ারাও পৃথক। ধর্ষণ মামলায় একজন ফজর আলী গ্রেপ্তার রয়েছে। সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সে মূল আসামি। ভুক্তভোগী নারী ওই দুই মামলা করেছেন, পুলিশ সহায়তা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *