ViralNews24

ViralNews24

ফুটবলার ইয়ামালের বিরুদ্ধে সাবেক পর্নতারকার বিস্ফোরক মন্তব্য

ফুটবল পায়ে ইতোমধ্যেই বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই কাতালান ক্লাব ও স্পেন জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ফেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিতেছেন লা লিগা, পেয়েছেন ইউরো জয়ের স্বাদও। প্রতিভার এমন ঝলক দেখে অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতের ব্যালন ডি’অর জয়ী হতে পারেন তিনি।

কিন্তু মাঠের বাইরের জীবনটা ততটা সরল নয় ইয়ামালের জন্য। টিনএজ বয়সে এসেই জড়িয়ে পড়েছেন একের পর এক বিতর্কে—যার বেশিরভাগই ঘুরছে নারীকেন্দ্রিক আলোচনার গণ্ডিতে।

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ৩০ বছর বয়সী মডেল ফাতি ভাসকেজের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। কয়েকটি ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবিতে দুজনকে একান্তে সময় কাটাতে দেখা গেছে। গুঞ্জন উঠেছিল, প্রেম করছেন এই দুই তারকা। তবে ইয়ামালের ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

এই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এসেছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। সাবেক পর্ন তারকা ক্লদিও বাভেল জানালেন, ইয়ামালই তাকে অসংখ্য বার্তা পাঠিয়ে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও ইয়ামাল দাবি করেছিলেন, বাভেল তাকে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এবার মুখ খুলে বাভেল দিয়েছেন পাল্টা জবাব।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লিখেছেন, “প্রথমত, এ বিষয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু যেহেতু ইয়ামাল বলেছে, কিছু পরিষ্কার করা দরকার। সে বলেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে, আসলে সে একা থাকে। বলেছে, আমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে, অথচ বারবার দেখা করতে চেয়েছে ও-ই।”

আরও বিস্ফোরক এক দাবি করে বাভেল বলেন, “আমি কখনো এত অল্প বয়সী কারও সঙ্গে সম্পর্কে যাইনি। ইয়ামাল আমাকে তার বাসায় ডেকেছিল। আমি বলেছিলাম, তুমি অনেক ছোট। সে বলেছিল—এটাই তো সময়। আমি বলেছিলাম—পুলিশ যদি ধরেফেলে? সে বলেছিল—কিছুই হবে না, নিশ্চিত থাকো।”

তবে বিতর্কে ফেঁসে গেলেও নিজেকে একদমই দোষী ভাবছেন না মডেল ফাতি ভাসকেজ। তার কথায়, “আমার এমন কী বয়স! ৩০-ও হয়নি। কাউকে খুন করিনি। তার সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটিয়েছি, ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে, সেটাই সত্যি। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না। কারণ, এরা মানুষকে অপমান করতে পেছপা হয় না।”

ফুটবল দুনিয়ায় ইয়ামালের উপস্থিতি যতটা আলো ছড়াচ্ছে, মাঠের বাইরে ঠিক ততটাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি। বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপে না খেলায় এখন ছুটিতে আছেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। কিন্তু ছুটি যে এভাবে বিতর্কে জর্জরিত হবে, তা বোধহয় কল্পনাও করেননি তিনি।

বার্সেলোনার নতুন ‘নাম্বার টেন’ এই চাপ কীভাবে সামাল দেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়। মাঠের কারিকুরি দিয়ে আলোচনায় থাকবেন, নাকি মাঠের বাইরের বিতর্ক তাকে গ্রাস করে ফেলবে—এই দ্বন্দ্বের উত্তর সময়ই দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *