ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের মধ্যেই দুঃসংবাদ, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তারকা ক্রিকেটার
মারা গেলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লরেন্স। পেস বোলার হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি ছিল। একটি দুর্ঘটনার কারণে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার খুব বেশি লম্বা হয়নি।
ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ চলছে। এই সিরিজের প্রথম ম্য়াচটি লিডসের হেডিংলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে। এই টেস্ট ম্যাচ চলাকালীনই একটি দুঃসংবাদে কার্যত শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। ইংল্যন্ডের (England Cricket Team) প্রাক্তন পেস বোলার ডেভিড লরেন্স (David Lawrence) ৬১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস (Cricketer Death) ত্যাগ করলেন। গত এক বছর ধরে তিনি মোটর নিউরোন ডিসঅর্ডারে (MND) ভুগছিলেন। ২০২৪ সালে লরেন্সের এই অসুখের কথা জানতে পারা গিয়েছিল। এই রোগ মস্তিষ্কের যাবতীয় স্নায়ুর কার্ষক্ষমতা শেষ করে দেয়। এই রোগের নাকি কোনও চিকিৎসা এখনও বেরোয়নি। আর সেকারণেই লরেন্স এই অসুখের ব্যাপারে যতটা সম্ভব বেশি বেশি সতর্ক করতেন।
ডেভিড লরেন্সের প্রয়াণে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব শোকস্তব্ধ। হেডিংলে টেস্টের তৃতীয়দিন শুরু হওয়ার ঠিক আগেই এই খবরটা সামনে আসে। সেকারণেই দুই দলের ক্রিকেটারই ডেভিডকে শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেন। এর পাশাপাশি তাঁরা বাঁ হাতে কালো রংয়ের ফিতে বেঁধে খেলতে নেমেছে।
একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বে তারকা পেস বোলারদের মধ্যে একজন ছিলেন এই ডেভিড লরেন্স। কিন্তু, একটি মারাত্মক চোট তাঁর গোটা কেরিয়ারই শেষ করে দিয়েছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি মাত্র পাঁচটি টেস্ট ম্য়াচই খেলতে পেরেছিলেন। যদিও গ্লস্টারশায়ারের হয়ে ২৮০ ম্য়াচে মোট ৬২৫ উইকেট শিকার করেন।
১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে অভিষেক করেন ডেভিড লরেন্স। তিনিই প্রথম ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি নিজের কাউন্টিতেই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি টেস্ট ম্য়াচ এবং একটি ওয়ানডে ম্য়াচ খেলেছিলেন। লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ডেবিউ হয়। তিনি ৫ টেস্ট ম্য়াচে মোট ১৮ উইকেট শিকার করেছিলেন। এরমধ্যে ১৯৯১ সালে তিনি দ্য ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ পারফরম্য়ান্স ছিল। একটিমাত্র ওয়ানডে ম্যাচে তিনি ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন।
চোটের কারণেই শেষ হয়ে যায় কেরিয়ারখুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডেভিডের ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটনে আয়োজিত একটি ম্য়াচে বল করার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। এই চোটের পর তিনি কামব্যাকের চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু সফল হতে পারেননি। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করার পর বডি বিল্ডিংয়েও তিনি হাত পাকাতে শুরু করেন। একটি নাইট ক্লাবের মালিকও ছিলেন তিনি।
Leave a Reply