ঈদের সময় নিজেদের কোরবানির মাংসের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসা থেকে আসা মাংসও ফ্রিজে রাখা হয়। অনেক সময় অরিতিক্ত চাপাচাপিতে দেখা যায় ফ্রিজের মাংস ঠিক মতো ঠান্ডা হচ্ছে না। আবার ডিপ ফ্রিজে মাংস রাখার আগে কিছু বিষয় মনে রাখাও জরুরি। কারণ ঠিকভাবে হিমায়িত না হলে মাংসের স্বাদ এবং গুণমান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জেনে নিন কিছু টিপস।
১. মাংস কাটার পরপরই ফ্রিজারে রাখবেন না। কারণ এই সময় মাংস কিছুটা গরম থাকে। রুমের তাপমাত্রায় আসার পর ফ্রিজারে রাখুন।
২. মাংস ধুয়ে ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। রক্ত মুছে এরপর রাখুন ফ্রিজারে।
৩. একটি সাধারণ ভুল হলো মাংসের বড় অংশ একসঙ্গে ফ্রিজারে রাখা। এতে হিমায়িত হওয়ার পাশাপাশি ডিফ্রস্ট করাও বেশ ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়। বারবার ভিজিয়ে রেখে ডিফ্রস্ট করার কারণে মাংসের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিমাণে মাংস এক ব্যাগে রাখুন যেটা ডিফ্রস্ট করে রান্না করে ফেলবেন সঙ্গে সঙ্গে।
৪. মাংসের প্যাকেটে তারিখ পরিষ্কারভাবে লিখে রাখুন। ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত গরু বা খাসির মাংস ভালো থাকে ফ্রিজারে।
৫. ফ্রিজারের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এতে মাংসের পৃষ্ঠের সাথে বড় বরফের স্ফটিক গঠিত হবে না। বড় আকৃতির বরফে মাংস আচ্ছাদিত হয়ে গেলে পরবর্তীতে মাংস শুকিয়ে যায় দ্রুত।
৬. অবশ্যই এয়ারটাইট প্যাকেজিং ব্যবহার করবেন মাংস হিমায়িত করার জন্য। যদি ব্যাগে বাতাস থাকে তবে ফ্রিজার বার্ন হতে পারে। কাঁচা মাংস সংরক্ষণ করার সময়, ফ্রিজার-নিরাপদ ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করবেন। পাত্র সিল করার আগে যতটা সম্ভব বাতাস চেপে বের করে নিন। যদি প্লাস্টিকের মোড়ক বা ফয়েল ব্যবহার করেন, তবে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য দুই লেয়ারে মোড়ান।
৬. মাংসের প্যাকেট খাড়া করে না রেখে শুইয়ে রাখুন। এতে একসঙ্গে অনেক মাংস রাখতে পারবেন। প্রতিটি ব্যাগের মাঝে নিউজপ্রিন্ট কাগজ দিন, প্যাকেট বের করা সহজ হবে।
৭. মাংস রাখার পর ঘন ঘন ফ্রিজের দরজা খুলবেন না। পাশাপাশি সঠিকভাবে দরজা বন্ধ করাও জরুরি।
Leave a Reply