কনের জন্য আনা শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় বরযাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কনেপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে বরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শের-ই বাংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের আয়োজন চলাকালে শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতরা হলেন—বর মো. সজিব, সোহেল, জাহিদ, অন্তু, তারেক, ময়না ও হালিমা বেগমসহ আরও কয়েকজন।
জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে চরসামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকালি গ্রামের মো. আবুর ছেলে সজিবের সাথে শের-ই বাংলা গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিফা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আজ দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কনে আনতে যান প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী।
বরপক্ষের অভিযোগ, কনের জন্য আনা শাড়ি ও প্রসাধনী সামগ্রী কনেপক্ষের অপছন্দ হওয়ায় প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় বর সজিবের পকেট থেকে ৩০ হাজার টাকা ও কনের জন্য আনা চার আনা ওজনের একটি স্বর্ণের নাকফুল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় কনেপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply