সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আলোচিত ট্রাক চালক বাদশা সেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম মনি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনির স্ত্রীরের সাথে বাদশার পরকীয়া চলছিল। বারবার নিষেধ করার পরও না মানায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জবাবন্দিতে উল্লেখ করেছেন ঘাতক মনি।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মনিকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মাহমুদ ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে মনিরুল ইসলাম মনিকে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পেশায় ট্রাকচালক মনি শিয়ালকোল ইউনিয়নের বহুতি পূর্বপাড়ার হাসান ফকিরের ছেলে এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার বাদশার সর্ম্পকে ফুফাতো বোন জামাই ও বন্ধু।
হত্যার শিকার ট্রাক চালক ফরিদুল ইসলাম বাদশা (২৭) একই এলাকার ইব্রাহিম হোসেন ওরফে কাঙ্গাল সেখের একমাত্র ছেলে। ঈদুল আজহার আগের রাতে বাদশাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন ভোরে বাদশা মারা যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই প্রণয় কুমার প্রামানিক জানান, মনিরুল ইসলাম মনিকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরি ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে জানিয়েছে, বাদশার সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া সর্ম্পক চলছিল। সর্ম্পক বাদ দিতে নিষেধ করার পরও বাদশা তা মানায় ক্ষোভে ও মনকষ্টে তাকে হত্যা করেছেন। এসআই প্রনয় প্রামানিক আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply