বাবার আদরের মেয়ে ছিল প্রিয়াংকা চোপড়া। তার হাতে উল্কি করা রয়েছে ‘ড্যাডিজ লিটল গার্ল’ (বাবার ছোট্ট মেয়ে) লেখা। ২০১৩ সালে অভিনেত্রীর বাবা অশোক চোপড়া যখন মারা যান সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই মাকে নিয়ে রীতিমতো পার্টি করতে দেখা যায় প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে।
বাবার মৃত্যুর ৬ দিনের মাথায় ঘটা করে মা মধু চোপড়ার জন্মদিন উদ্যাপন করেন প্রিয়াংকা চোপড়া।
বাবার মৃত্যুর পর শোক পালন করেননি, কাঁদেননি পর্যন্ত! বরং মা ও দাদাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন, সে ভাবেই নাকি আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
প্রিয়াংকার পরিবারে ছিল চার জন সদস্য— বাবা-মা ও দুই ভাইবোন। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতেন অভিনেত্রীর বাবা। অভিনেত্রী নিজে জানিয়েছেন, পরিবারের বাইরে তাঁর জীবন নিয়ে।
তিনি কাজ যেতেন আর বাড়ি ফিরতেন। এভাবে চলতে থাকে ছয় মাস। নিজের মনের কষ্ট ছেলেমেয়েদের সামনে প্রকাশ করতে পারছিলেন না অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া। বাড়ির ভিতরের উথালপাথাল পরিস্থিতি ভালোই বুঝতে পারছিলেন প্রিয়াংকা।
মা ও দাদাকে নিয়ে সোজা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ব্রিটেনের এক নির্জন দ্বীপে চলে যান তিন জনে।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম কয়েক দিন পরস্পর কথা বলতে পারছিলেন না। তবে একটা সময় পর খোলাখুলি কথা বলতে শুরু করেন। তিন জনে কাঁদেন একে অপরের কষ্ট ভাগ করেন নেন।
Leave a Reply