শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এক গৃহবধূকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী নারী জানান, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে নানা প্রলোভন, ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে নির্যাতন করে আসছিলেন এই কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং এর আগে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ট্রাস্ট-এ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়ি টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া এলাকায়। পারিবারিক সম্পর্ক অনুযায়ী তিনি জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের শ্যালকের স্ত্রী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের ‘কুনজরের’ পর থেকেই তার পারিবারিক জীবন সম্পূর্ণভাবে বদলে যায়।
নারীর অভিযোগ, শুরুতে আশরাফ উদ্দিন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মানসিক চাপে ফেলেন। একপর্যায়ে তাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিজের স্ত্রীকে ব্যবহার করে ফোনের মাধ্যমে গৃহবধূকে দেখা করতে বলতেন তিনি। এমনকি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২টি কোরআন শরীফ স্পর্শ করার ঘটনাও ঘটেছে, তবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি রাজি না হলে, তিনি নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে আমাদের বাসার নিচে পড়ে থাকতেন। একপর্যায়ে আমাকে আমার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।’
তার অভিযোগ, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। এসব ঘটনার ভিত্তিতে তিনি আগামী সোমবার (২৩ জুন) আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
ঘটনার বিষয়ে মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply