ViralNews24

ViralNews24

ভিডিও ভাইরাল, থানা ছেড়ে পালালেন ওসি

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার নবাগত ওসি হাশমত আলী ১৩ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই ২০১২ সালের ৫ অক্টোবরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিলে পুলিশ সদস্যদের লাঠিচার্জ করতে। সেই সময়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একাধিকবার লাঠিচার্জ করতে দেখা যায় বর্তমান ওসি হাশমত আলীকেও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়, এবং বুধবার সকালে ওসি হাশমত আলী থানাটি ছেড়ে চলে যান।

২০১২ সালের ওই ঘটনার সময়ে হাশমত আলী ছিলেন জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)। সেই সময়, জামায়াতে ইসলামী নেতা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সংগঠিত এক বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে, এতে বহু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন, এবং বদিউজ্জামাল নামে এক শিবির কর্মী নিহত হন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

ওসি হাশমত আলী ১৩ বছর পর ক্ষেতলাল থানায় নতুন ওসি হিসেবে যোগদান করলে ২০১২ সালের সেই পুরনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে পুলিশের সহিংসতার দৃশ্য দেখে পুনরায় বিষয়টি আলোচনায় আসে, যার ফলস্বরূপ ওসি হাশমত আলী থানাটি ছেড়ে চলে যান।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শামীম হোসেন মন্ডল বলেন, ওসি হাশমত আলী আমাদের সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম স্যারকে আঘাত করেছেন এবং জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন মিছিলে পুলিশ সদস্য হিসেবে তিনি আমাদের শিবিরের কর্মী বদিউজ্জামালকে গুলি করেছিলেন, যার ফলে তিনি নিহত হন।

এছাড়া, শামীম হোসেন মন্ডল আরও জানান, হাশমত আলী যতদিন ক্ষেতলাল থানায় ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত তিনি জামায়াতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। পরে তিনি আবার ওসি হিসেবে ফিরে আসার পর, স্থানীয় জনগণের ওপর আরও জুলুম-নির্যাতন এবং গ্রেপ্তার হুমকি বাড়িয়ে দিয়েছেন।

ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম কামাল জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর পর ওসি হাশমত আলী সকালে সরকারি ফোনটি ফিরিয়ে দিয়ে এসপি অফিসে গেছেন এবং পরে আর থানায় ফিরে আসেননি। সম্ভবত তিনি এসপি স্যারের অনুমতি নিয়ে ছুটিতে বাড়ি চলে গেছেন।

এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ওসি হাশমত আলীর পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *