ViralNews24

ViralNews24

৬টি মাছ মোটেও খাওয়া উচিত নয়

মাছ ছাড়া আমাদের চলেই না, বিশেষ করে দুপুরের মেনুতে তো ভাজা মাছ থাকাই চাই। কিন্তু জানেন কি, এমন অনেক মাছ আছে, যা মোটেও খাওয়া উচিত নয়, অথচ আপনি দিনের পর দিন নিশ্চিন্তে খেয়ে যাচ্ছেন! গর্ভবতী, প্রসূতি নারী এবং যেসব নারী মা হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের মেথিলমার্কারি আছে এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ধরনের বিষাক্ত উপাদান ভ্রুণ, ছোট্ট শিশু ও বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সমস্যা করে।

১. ইমপোর্ট করা মাগুর মাছ: মাগুর মাছ কিন্তু নানা সাইজের হতে পারে। মাছের সাইজ যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে, সেজন্য অনেকসময় মাছচাষীরা নানারকম হরমোন ইঞ্জেকশন পুশ করেন মাছের শরীরে। সেই জন্য বাজারে গিয়ে হাত নিশপিশ করলেও বড় আকারের মাগুর মাছ কেনা এবার বন্ধ করুন। ছোট সাইজের মাছ কিনুন। ওগুলোয় অনেক বেশী উপকার।

২. ম্যাকারেল: শপিং মল আর নানারকম রেস্তোরাঁর দৌলতে বাঙালী এখন পোনামাছের পাশাপাশি ম্যাকারেল খেতেও দিব্যি অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ম্যাকারেলে কিন্তু পারদ থাকে। আর আপনি যদি ম্যাকারেল খান, তাহলে ওই পারদ কিন্তু আপনার পেটেই জমা হতে থাকবে। এর ফলে নানারকম বিপদজনক রোগও হতে পারে। তাই এবার থেকে ম্যাকারেলকে একটু এড়িয়েই চলুন।

৩. টুনা: টুনা মাছও বিদেশী। বাঙালীর খাবারের তালিকায় এখন আস্তে আস্তে দিব্যি ঠাই করে নিচ্ছে। টুনাতেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পারদ থাকে। তাছাড়া যেসমস্ত ফার্মে টুনা চাষ করা হয়, সেখানে মাছকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন ও অ্যান্টি-বায়োটিক ইঞ্জেক্ট করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

৪. তেলাপিয়া: বাজারে গিয়ে দেখে-শুনে বেশ কিছু সুন্দর আর বড় সাইজের তেলাপিয়া কিনে ফেললেন। কিন্তু খবরদার! তেলাপিয়াতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক ফ্যাট থাকে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ও হার্টের রোগ ও অন্যান্য নানা রোগের কারণ হতে পারে। তাছাড়া আপনার যদি হাঁপানি বা আরথ্রাইটিস থাকে তাহলেও তেলাপিয়া মাছ না খাওয়াই উচিত।

৫. পাঁকালমাছ: তৈলাক্ত এই মাছটি পানিতে প্রাপ্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং ফার্মের বর্জ্য পদার্থ খেয়ে বড় হয়। তাই মাছটি পুরোপুরি দূষিত বলে মনে করা হয়। এতে পারদের পরিমাণ মানব দেহের জন্য সহনীয় মাত্রায় থাকে না। তাই এই মাছটি কখনোই না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৬. পাংগাস মাছ: আমরা বাজার থেকে যে পাংগাস কিনি, সেগুলি সবই নির্দিষ্ট কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় পাঙ্গাস । ফার্মে পাঙ্গাস স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক। দেখা গিয়েছে, ফার্মে পাংগাস চাষে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা থেকে ক্যান্সার হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাংগাস নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *