ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে পুরোপুরি ধ্বংস করার লক্ষ্যেই দেশটিতে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত ইয়েশিয়েল লেইটার। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলেও আশা করছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেইটার বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে পুরোদস্তুর যুদ্ধের মধ্যে আছি। আমাদের যুদ্ধ ইরানের শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে নয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই— ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখা।”
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের বিমান অভিযানের পর শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন দফায় শত শত ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
তিনি বলেন, “শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন দফায় ১৫০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। আমরা যতদূর জানি, ইরানের সংগ্রহে ২ হাজারের বেশি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এই যুদ্ধে সেগুলো একে একে ব্যবহার করবে দেশটির সেনাবাহিনী। আমরা সেই হামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।”
গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন। এছাড়া ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।
অতর্কিত হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। এতে একজন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের ব্যাপার ইসরায়েল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সিএনএনকে ইয়েশিয়েল লেইটার বলেন, “আমাদের হিসেব বলছে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আমরা ইরানের পরমাণু প্রকল্প সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলতে পারব। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ববাসীর মঙ্গলের জন্য এটা আমাদের করতে হবে।”
Leave a Reply