ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সপরিবারে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামের সামরিক অভিযানের পরপরই খামেনিকে তেহরানের উত্তরাঞ্চলের একটি গোপন ও সুরক্ষিত বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে মোজতাবা খামেনি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তবে অপর দুই সন্তান মাসুদ ও মোস্তফা তার সঙ্গে ছিলেন না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের বরাতে জানা গেছে, এই প্রথম নয়—এর আগেও, গত বছর ইসরায়েলের দুটি বড় ধরনের হামলার সময়, খামেনিকে এমন ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে সামরিক অভিযান শুরু করে, যার মধ্যে ছিল পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সেনা ছাউনি, এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবনে বিমান হামলা। এর জবাবে ইরান দফায় দফায় ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে উভয় পক্ষই সরাসরি মূল ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ফলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, খামেনির বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে—ইরান এখন যে কোনো পরিণতির জন্য প্রস্তুত। দেশটির শীর্ষ নেতার এই পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ সতর্কাবস্থার সর্বোচ্চ স্তরকে নির্দেশ করে।
সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল, রয়টার্স
Leave a Reply