ইরানের সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ঘাঁটি থেকে কিছু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৮ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও স্পষ্টভাবে জানাননি—যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলা করবে কি না।
আল জাজিরা জানিয়েছে, প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি কর্তৃক তোলা এবং এপি কর্তৃক বিশ্লেষণ করা একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, কাতারের দোহার বাইরে অবস্থিত আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রধান মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, সেটার টারমাকে থাকা অনেক বিমান নেই। কিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সাধারণত বিমান ঘাঁটিটি একাধিক পরিবহন বিমান, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন দিয়ে ভরা থাকে।
আল জাজিরা আরও জানায়, বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের ঘাঁটিতে জাহাজ ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর এটি করা হয়। আক্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজ ও বিমান ধ্বংস না হওয়া নিশ্চিত করতে সামরিক কৌশল হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
এক প্রতিবেদনে আরব নিউজ জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সরঞ্জামকে নিরাপদ রাখা। তবে ঠিক কতগুলো বিমান ও জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক কর্মকর্তা জানান, আল-উদেইদ ঘাঁটির যেসব বিমান শক্তিশালী সুরক্ষার আওতায় ছিল না, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাহরাইনের একটি বন্দরের জাহাজগুলোও সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এই বন্দরেই যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কাতারের মার্কিন দূতাবাস এক সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে দূতাবাসের কর্মীদের সাময়িকভাবে কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত এই ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা।
দূতাবাসকর্মী ও কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সরঞ্জামকে নিরাপদ রাখা। তবে ঠিক কতগুলো বিমান ও জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-উদেইদ ঘাঁটির যেসব বিমান শক্তিশালী সুরক্ষার আওতায় ছিল না, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাহরাইনের একটি বন্দরের জাহাজগুলোও সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এই বন্দরেই যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করে।
Leave a Reply