ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘অপসারণ’ করা এখন ইসরায়েলের যুদ্ধ লক্ষ্যগুলোর একটি বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
তিনি সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ‘আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দেওয়া এক বিস্ফোরক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই মানুষটি আর পৃথিবীতে থাকার যোগ্য নন।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ শুধু প্রতিরোধ নয়, এটি নির্ধারণের যুদ্ধ—ইরানের নেতৃত্বকে আমরা দায়ী করছি।
এই বক্তব্য আসে ইরানের একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর, যেখানে ইসরায়েলের একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ঘটে। হামলায় একটি হাসপাতাল, একটি উঁচু ভবন এবং একাধিক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ডজনখানেক মানুষ।
সম্প্রতি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের কেন্দ্র ও দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত চারটি স্থাপনায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণের সোরোকা মেডিকেল সেন্টার। অন্যদিকে, পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক সূত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এখনও ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে’ পৌঁছাননি, তবে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তিনি জানান, আমি ইরানকে একটি চূড়ান্ত বার্তা দিয়েছি। এখন তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটাই দেখার বিষয়।’
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সতর্ক করে দেন, ইরানের ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের যেকোনো সামরিক অভিযান ভয়াবহ ও অপূরণীয় পরিণতি ডেকে আনবে।
তীব্র এই সংঘাতে দুই পক্ষেই প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০ জনে, যার মধ্যে অন্তত ৭০ জন নারী ও শিশু রয়েছে। অপরদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র- আলজাজিরা
Leave a Reply